জিকে পোস্ট নাম্বার ঃ ১৫৭
দেশ বিভাগের পর ভারতে উৎস এমন নদীর জলের কতটুকু পাকিস্থান ব্যবহার করতে পারবে এই নিয়ে অনেক সমস্যা দেখা দিতে থাকে । পাকিস্তানের প্রধান নদীগুলির উৎস ভারতে হওয়ায় এটা তাদের কাছে খুবই দুঃশিন্তার ব্যাপার হয়ে ওঠে । এমত অবস্থায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্য সিন্ধু জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই জলচুক্তিতে মূখ্যত ৬ টি নদীর কথা বলা হয়েছে । নদীগুলি হল - ঝিলম , চন্দ্রভাগা , শতদ্রু , বিপাশা , ইরাবতী এবং সিন্ধু । এই সব নদীর উৎস ভারতে । চুক্তির মাধ্যমে এই ৬টি নদীর ৮০% জল পাকিস্তানকে দিতে সম্মত হয়েছিল ভারত । চুক্তি অনুযায়ী পূর্বগামী নদী শতদ্রূ, বিপাশা , ইরাবতী এবং এদের শাখানদী গুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন থাকবে ভারতের । এই নদীগুলির উপর বিদ্যুৎ প্রকল্প , সেচ , পরিবহন - ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ অধিকার ভারতের । অন্যদিকে পশ্চিমবাহিনী নদি - ঝিলম , চন্দ্রভাগা , সিন্ধু এবং এদের শাখা নদী গুলির উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে পাকিস্তানের। সারা বিশ্বে এত উদার কূটনৈতিক জলচুক্তি এই প্রথম । তবে প্রথম থেকেই পাকিস্তান এই চুক্তির জন্য অতিরিক্ত লাভবান হচ্ছে , এখনও পাকিস্তানের বেশিরভাগ চাষ সিন্ধু নদীর জলের সাহায্যেই হয় । ভারত এই জলচুক্তির ফলে ৩৩ মিলিয়ন একর ফুট জল পায় যেখানে পাকিস্তান পায় ১২৫ মিলিয়ন একর ফুট জল । চুক্তি অনুযায়ী ভারত সিন্ধু নদীর মাত্র ২০% জল ব্যবহার করতে পারে । ভারত এই জলপ্রবাহ বন্ধ করে দিলে পাকিস্তানে ক্ষরা হয়ে যেতে পারে । এই কারনে পাকিস্তান উদ্বেগে থাকে । দুই দেশের মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই সিন্ধু জলচুক্তি সামনে এসে পড়ে । রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বহুদিন ধরেই পাকিস্তানকে বেশী জল জল দেওয়া বন্ধ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রেখেছে ।
দেশ বিভাগের পর ভারতে উৎস এমন নদীর জলের কতটুকু পাকিস্থান ব্যবহার করতে পারবে এই নিয়ে অনেক সমস্যা দেখা দিতে থাকে । পাকিস্তানের প্রধান নদীগুলির উৎস ভারতে হওয়ায় এটা তাদের কাছে খুবই দুঃশিন্তার ব্যাপার হয়ে ওঠে । এমত অবস্থায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্য সিন্ধু জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই জলচুক্তিতে মূখ্যত ৬ টি নদীর কথা বলা হয়েছে । নদীগুলি হল - ঝিলম , চন্দ্রভাগা , শতদ্রু , বিপাশা , ইরাবতী এবং সিন্ধু । এই সব নদীর উৎস ভারতে । চুক্তির মাধ্যমে এই ৬টি নদীর ৮০% জল পাকিস্তানকে দিতে সম্মত হয়েছিল ভারত । চুক্তি অনুযায়ী পূর্বগামী নদী শতদ্রূ, বিপাশা , ইরাবতী এবং এদের শাখানদী গুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন থাকবে ভারতের । এই নদীগুলির উপর বিদ্যুৎ প্রকল্প , সেচ , পরিবহন - ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ অধিকার ভারতের । অন্যদিকে পশ্চিমবাহিনী নদি - ঝিলম , চন্দ্রভাগা , সিন্ধু এবং এদের শাখা নদী গুলির উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে পাকিস্তানের। সারা বিশ্বে এত উদার কূটনৈতিক জলচুক্তি এই প্রথম । তবে প্রথম থেকেই পাকিস্তান এই চুক্তির জন্য অতিরিক্ত লাভবান হচ্ছে , এখনও পাকিস্তানের বেশিরভাগ চাষ সিন্ধু নদীর জলের সাহায্যেই হয় । ভারত এই জলচুক্তির ফলে ৩৩ মিলিয়ন একর ফুট জল পায় যেখানে পাকিস্তান পায় ১২৫ মিলিয়ন একর ফুট জল । চুক্তি অনুযায়ী ভারত সিন্ধু নদীর মাত্র ২০% জল ব্যবহার করতে পারে । ভারত এই জলপ্রবাহ বন্ধ করে দিলে পাকিস্তানে ক্ষরা হয়ে যেতে পারে । এই কারনে পাকিস্তান উদ্বেগে থাকে । দুই দেশের মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই সিন্ধু জলচুক্তি সামনে এসে পড়ে । রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বহুদিন ধরেই পাকিস্তানকে বেশী জল জল দেওয়া বন্ধ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রেখেছে ।