রাম নাথ কোবিন্দ
ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি
দ্বায়িত্ব ভার গ্রহন করবেন ২৫শে জুলাই ২০১৭
১লা অক্টোবর ১৯৪৫ সালে উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার পারাউখ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন । তাঁর বাবা মাইকুলাল ছিলেন একজন ভূমিহীন চাষি । ছোট্ট দোকানের উপর নির্ভর ছিল মাইকুলাল কোবিন্দের সংসার । রাম নাথ কোবিন্দ জন্মেছিলেন মাটির কুঁড়ে ঘরে যেটি এখন আর নেই । ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট রামনাথ ৫ বছর বয়সে তাঁর মা'কে হারান । গ্রামের পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পর রামনাথ প্রতিদিন ৬কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানপুর গ্রামে জুনিয়ার স্কুলে পড়তে যেতেন । অদম্য প্রচেষ্টা ও মনোবলকে পাথেয় করে উনি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত ডক্টর অমিত কুমার শ্রীবাস্তব কলেজ থেকে কমার্স নিয়ে বিএ ও ল' পাশ করেন ।
ল' পাশ করার পর রামনাথ দিল্লী চলে আসেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য । পরপর দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় চেষ্টায় উনি সফল হন কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় চাকরী না করে তিনি ওকালতি করা শুরু করেন । ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ - দীর্ঘ ১৩ বছর উনি দিল্লী কোর্টে ওকালতি করেন । ওকালতির সাথে সাথে রামনাথ তাঁর সমাজসেবা মূলক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন ।
১৯৭৪ সালের ৩০শে মে উনি সভিতা কোবিন্দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তাদের দুটি সন্তান , পুত্র প্রশান্ত কুমার ও কন্যা স্বাতী ।
১৯৯১ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হন । ১৯৯৮-২০০২ সময়কালে তিনি বিজেপি দলিত মোর্চার ও সর্বভারতীয় কোলি সমাজের সভাপতি পদে নিযুক্ত থাকেন । দেরাপুরে তাঁর পৈত্রিক ভিটেবাড়ি তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক দলকে দান করেন ।
১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে রামনাথ কোবিন্দ রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হন । মার্চ ২০০৬ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জন্য উন্নতিমূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন । হোম অ্যাফেয়ার্স , পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস , সামাজিক ন্যায় বিচার - প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করেছেন ।
তিনি লখনৌ এর ড. বি আর আম্বেদকার ইউনিভার্সিটির ও আইআইএম কোলকাতার পরিচালন বোর্ডের সদস্য ছিলেন অক্টোবর ২০০২ পর্যন্ত । ৮ই আগস্ট ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেল রামনাথ কোবিন্দকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন । ১৬ই আগস্ট ২০১৫ তে পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইকবাল আহমেদ আনসারী তাঁকে রাজ্যপালের শপথ বাক্য পাঠ করান ।
২০শে জুলাই ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিহারের রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করেন । রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি তাঁর এই পদত্যাগ স্বীকার করেন ।
আগামী ২৫শে জুলাই ২০১৭ তারিখে উনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব ভার গ্রহন করবেন ।
ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি
দ্বায়িত্ব ভার গ্রহন করবেন ২৫শে জুলাই ২০১৭
১লা অক্টোবর ১৯৪৫ সালে উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার পারাউখ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন । তাঁর বাবা মাইকুলাল ছিলেন একজন ভূমিহীন চাষি । ছোট্ট দোকানের উপর নির্ভর ছিল মাইকুলাল কোবিন্দের সংসার । রাম নাথ কোবিন্দ জন্মেছিলেন মাটির কুঁড়ে ঘরে যেটি এখন আর নেই । ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট রামনাথ ৫ বছর বয়সে তাঁর মা'কে হারান । গ্রামের পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পর রামনাথ প্রতিদিন ৬কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানপুর গ্রামে জুনিয়ার স্কুলে পড়তে যেতেন । অদম্য প্রচেষ্টা ও মনোবলকে পাথেয় করে উনি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত ডক্টর অমিত কুমার শ্রীবাস্তব কলেজ থেকে কমার্স নিয়ে বিএ ও ল' পাশ করেন ।
ল' পাশ করার পর রামনাথ দিল্লী চলে আসেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য । পরপর দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় চেষ্টায় উনি সফল হন কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় চাকরী না করে তিনি ওকালতি করা শুরু করেন । ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ - দীর্ঘ ১৩ বছর উনি দিল্লী কোর্টে ওকালতি করেন । ওকালতির সাথে সাথে রামনাথ তাঁর সমাজসেবা মূলক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন ।
১৯৭৪ সালের ৩০শে মে উনি সভিতা কোবিন্দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তাদের দুটি সন্তান , পুত্র প্রশান্ত কুমার ও কন্যা স্বাতী ।
১৯৯১ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হন । ১৯৯৮-২০০২ সময়কালে তিনি বিজেপি দলিত মোর্চার ও সর্বভারতীয় কোলি সমাজের সভাপতি পদে নিযুক্ত থাকেন । দেরাপুরে তাঁর পৈত্রিক ভিটেবাড়ি তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক দলকে দান করেন ।
১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে রামনাথ কোবিন্দ রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হন । মার্চ ২০০৬ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জন্য উন্নতিমূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন । হোম অ্যাফেয়ার্স , পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস , সামাজিক ন্যায় বিচার - প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করেছেন ।
তিনি লখনৌ এর ড. বি আর আম্বেদকার ইউনিভার্সিটির ও আইআইএম কোলকাতার পরিচালন বোর্ডের সদস্য ছিলেন অক্টোবর ২০০২ পর্যন্ত । ৮ই আগস্ট ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেল রামনাথ কোবিন্দকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন । ১৬ই আগস্ট ২০১৫ তে পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইকবাল আহমেদ আনসারী তাঁকে রাজ্যপালের শপথ বাক্য পাঠ করান ।
২০শে জুলাই ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিহারের রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করেন । রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি তাঁর এই পদত্যাগ স্বীকার করেন ।
আগামী ২৫শে জুলাই ২০১৭ তারিখে উনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব ভার গ্রহন করবেন ।
Tags:
জীবনী ও বানী