পণ্য ও পরিষেবা কর (GST)

১লা জুলাই দেশ জুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) চালু হয়েছে। ৩ আগস্ট, ২০১৬ রাজ্যসভায় “পণ্য ও পরিষেবা কর বিল” (Goods and  Services Tax) পাশ হল। ২০১৫ সালের ৬ লোকসভায় “পণ্য ও পরিষেবা বিল, ২০১৪” পাশ হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হওয়ার পর কোনো রাজ্যের যদি এই খাতে রাজস্ব ক্ষতি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরন দেবে। ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায় এই বিলে স্বাক্ষর করেন।
  • পণ্য ও পরিষেবা কর (GST): ক্রেতা একটি পণ্য কিনতে বা কোনো পরিষেবা নিলে যে একটিমাএ করে দেবেন, তাকেই পণ্য ও পরিষেবা কর বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে পরিষেবা কর, উৎপাদন শুল্ক করের মতো অনেক ধরনের কর রয়েছে। আবার রাজ্য সরকারের হাতেও ভ্যাট, লেস ট্যাক্স, লাক্সারি ট্যাক্সের মতো অনেক রকমের কর রয়েছে। যখন কোনো পণ্য বা পরিষেবা বাজারে আসে তখন এই করগুলি আলাদা আলাদাভাবে চাপানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, আলাদেভাবে কর না নিয়ে একটিমাএ কর আরোপ করা হোক, যা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য তাদের রাজস্ব ভাগ করে নেবে।
  • পণ্য ও পরিষেবা করের সালতামামি:
  • ২০০০: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রথম অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সওয়াল করেন। কারন, আর্থিকভাবে উন্নত যে পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সওয়াল করেন। কারন, আর্থিকভাবে উন্নত যে কোনো দেশেই এই পদ্ধতি চলে।
  • ২০০৬: ২০০৬-০৭ সালের বাজেটে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জানান, ২০১০ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে GST চালু হবে।
  • ২০০৮: রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি হল ভারপ্রাপ্ত কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।
  • ২০০৯: প্রথম আলোচনাপত্র প্রকাশ করল ওই ভারপ্রাপ্ত কমিটি।
  • ২০১১: পণ্য-পরিষেবা করের জন্য লোকসভায় এল সংবিধান সংশোধনী বিল। কিন্ত গেল সংসদের অর্থ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির কাছে।
  • ২০১৩: সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট পেশ। সংশোধিত বিল গেল রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের কমিটির কাছে।
  • ২০১৪: ভারপ্রাপ্ত কমিটির সুপারিশ মেনে ফের লোকসভায় এল সংবিধান সংশোধনী বিল।
  • ২০১৫: ৬মে লোকসভায় GST বিল পাশ হল। গেল রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটির কাছে। GST-র সর্বোচ্চ হার বেঁধে দেওয়ার দাবি-সহ কয়েকটি আপত্তি তোলে বিরধীরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post