বাবরি বিতর্ক - এক নজরে

জিকে পোস্ট নাম্বার ঃ ১৭৮ 

► ১৫২৮ ঃ অয্যোধ্যায় বাবরের সেনাপতি মির বাকি তৈরি করান বাবরি মসজিদ । হিন্দুদের একাংশের দাবি উক্ত স্থানটি রামের জন্মভূমি । হিন্দু মতে ওখানে আগে একটি মসজিদ ছিল ।
► ১৮৫৩ ঃ সৌধ ঘিরে প্রথমবার হিন্দু মুসলমান সংঘর্ষ হয় ।
► ১৮৫৭ ঃ এক হিন্দু পুরোহিত বাবরি মসজিদ লাগোয়া চত্বরে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করান ।
► ১৮৫৯ ঃ ব্রিটিশ সরকার মন্দির , মসজিদের মাঝে দেয়াল তুলে দেন ।
► ১৮৮৫ ঃ মোহন্ত রঘুবর দাস - রামমন্দির তৈরি করার অনুমতি চেয়ে ফৈজাবাদ কোর্টের দ্বারস্থ হন ।
► ১৯৪৯ ঃ মসজিদের ভিতরে রামের মূর্তি পাওয়া যায় । সরকার চত্ত্বরটিকে বিতর্কিত ঘোষণা করে দরজায় তালা দিয়ে দেয় ।
► ১৯৫০ ঃ মহন্ত পরমহংস রামচন্দ্র ও গোপাল সিংহ বিশারদ মূর্তিপূজার অনুমতি চেয়ে ফৈজাবাদ কোর্টের দ্বারস্থ হন । কোর্ট পূজার অনুমতি দেয় । তবে ভেতরের গেটের তালা বন্ধ করে রাখা হয় ।
► ১৯৫৯ ঃ ' নির্মোহী' আখড়া সৌধ চত্বর দখলের অনুমতি চেয়ে কোর্টে যায়
► ১৯৮৪ ঃ লালকৃষ্ণ আদবানীর নেতৃত্বে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রামমন্দির নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন।
► ১৯৮৬ ঃ হিন্দুদের পুজোর জন্য গেট খোলার অনুমতি দেয় ফৈজাবাদ জেলা আদালত ।
► ১৯৮৯ ঃ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সৌধের কাছাকাছি জমিতে মন্দিরের শিলান্যাস করার অনুমতি দেন ।
► ১৯৯০ ঃ সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রা সূচনা করেন আদবানি । বিহারের সমস্তিপুরে রথ থামানো হয় । আদবানি গ্রেপ্তার হন । এই বছরের ৩০শে অক্টোবর মসজিদ ধ্বংস করতে জড়ো হন হাজার হাজার করসেবক । পুলিশ গুলি চালায় । অনেকের মৃত্যু হয় ।
► ১৯৯১ ঃ উত্তরপ্রদেশে বি জে পি ক্ষমতায় আসে
► ৬ই ডিসেম্বর , ১৯৯২ ঃ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ , শিবসেনা আর বি জে পি সমর্থকদের হাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় । দেশ জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে । হাজারেরও বেশী মানুষ নিহত হন । লিবারহান কমিশন গঠিত হয় ।
► ১৯৯৩ ঃ আদবানির বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশীট দেয়
► ৪ই মে ২০০১ ঃ সি বি আই এর বিশেষ আদালতে টেকনিক্যাল কারনে আদবানি , বালসাহেব ঠাকরে , উমা ভারতী ও জোশীর বিরুদ্ধে চলা মামলা বন্ধ হয়
► ২০০৩ ঃ এলাহাবাদ কোর্টের নির্দেশে আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বাবরি মসজিদের জমিতে খনন করে দশম শতকের একটি মন্দিরের খোঁজ পায় । এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে ' অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ড ' ।
► ২০০৯ ঃ লিবারহান কমিশনের রিপোর্টে মসজিদ ভাঙ্গার জন্য বি জে পি নেতাদের দায়ী করা হয়
► ২০১০ ঃ এলাহাবাদ কোর্ট রায় দেয় - বিতর্কিত জমিটি রামলালা ট্রাস্ট , নির্মোহী আখড়া ও ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে সমান ভাগ করে দেওয়ার । রায়ে সম্মত না হওয়ায় দুপক্ষই আবার আদালতে যায় ।
► ২০১৫ ঃ আদবানিদের নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট
► ২০১৭ ঃ বিতর্কিত জমিটির মামলা আদালতের বাইরে করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট । আদবানি , জোশী , উমা ভারতীদের বিরুদ্ধে ফের মামলা শুরু করার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট ।


Post a Comment

Previous Post Next Post